যে হিন্দি সিরিয়ালের অনুকরনে তৈরি সীমারেখা!
সীমা আর রেখা দুই বোনের গল্প নিয়েই এই ধারাবাহিক। এই দুই নারী যমজ হলেও স্বভাবে তাদের বিস্তর অমিল। সীমা যতটা উচ্চাভিলাষি, রেখা ঠিক ততটা ঘরোয়া। উচ্চবিত্ত ব্যবসায়ী সীতাংশুর সঙ্গে বিয়ে হয় সীমা ওরফে সীমন্তিনীর। কিন্তু কোনও দিনই সীমা বুঝতে চায়নি সীতাংশুকে। সীতাংশু অবশ্য মনে মনে ভালোবাসত রেখাকে। কিন্তু বিধি বাম। তার সঙ্গে বিয়েতে বাধা দিয়েছিল সীতাংশুর মা। বিয়ে হলেও দু’জনের মনের মিল হয় না। অন্যদিকে কূটিল সীমার চক্রান্তে বিয়ে হয়েছিল রেখার। ডিভোর্স হয়ে যায়। চক্রান্ত করে ভাড়া বাড়ি থেকেও বোনকে উচ্ছেদ করে সীমা। আত্মহত্যা করতে যাওয়া রেখাকে বাঁচায় সীতাংশু। ঘরোয়া মেয়ে রেখা গোটা পরিবারটিকেই আপন করে নেয়। সীমা নানা ছক কষে রেখাকে তাড়ানোর।
সীতাংশুর চেষ্টায় রেখার বিয়ে হয় সীমার দেওর শুভ্রাংশুর সঙ্গে। চিত্রশিল্পী শুভ্রাংশু রেখাকে সহ্য করতে না পারলেও বাধ্য হয়ে দাদার চাপে পড়ে বিয়ে করে। শুরু হয় দু’জনের টানপোড়েন। রেখা কি পারবে শুভ্রকে বাগে আনতে? সব প্রশ্নেরই দুরন্ত অভিনয়ে জবাব দিতে চেষ্টা করছেন ধারাবাহিকের কুশীলবরা। বহুদিন পর এমন একটি দ্বৈত চরিত্রে অভিনয়ে জমিয়ে দিয়েছেন ইন্দ্রাণী হালদার। দুটো চরিত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরিতে জুড়ি মেলে না ইন্দ্রাণীর। মেকআপ হেয়ার স্টাইল, ঠাট বাট, চলন বসন সবেতেই সেরাটা দিচ্ছেন। গল্পে মিল না থাকলেও এ যেন সীতা ঔর গীতা। তবে হিন্দি বানি-রানি ধারাবাহিকের সঙ্গে একেবারেই কাহিনীগত মিল রয়েছে। যদিও বড় অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী বুঝতে দিচ্ছেন না এটি রিমেক না অনুকরণ মাত্র!
সে যাই হোক, শুধু দুই যমজ বোনের সবেতেই অমিল, মেকআপেও লুক আলাদা। যাই হোক, দুই বোনের তরজায় ভর করে তরতরিয়ে এগিয়ে চলেছে সীমারেখা।