দোকানের মতো মচমচে, ফোলা ফুচকা তৈরির রেসিপি
ফুচকা খায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। পিঁয়াজ, নানারকম মশলা দিয়ে মাখা আলু ভরে তেঁতুল জলে ডুবিয়ে পরিবেশন করা হয় ফুচকা। যতদিন যাচ্ছে, এর জনপ্রিয়তাও যেন তত বাড়ছে। আর সেইসঙ্গে বাড়ছে ফুচকার ভ্যারাইটি। শুধু তেঁতুল জলে চুবিয়ে নয়, দই দিয়েও পরিবেশন করা হয় এটিকে। মূলত মহারাষ্ট্রে এই দই ফুচকার চল বেশি। আপনি চাইলেই বাড়িতে খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারেন এই ফুচকা। আমরা সবাই জানি যে, ফুচকার তিনটি অংশ থাকে। একটি পুরি বা পাঁপড়, একটি ভর্তা আর অন্যটি তেঁতুলের টক।
চলুন দেখে নিই এসব তৈরি করতে কি কি উপকরণ লাগবে
১. ফুচকা বানানোর উপকরণ
সুজি –১ কাপ, ময়দা -১/৪ কাপ, সরিষা গুড়া -১/২ চা চামচ, খাওয়ার সোডা-১/২চা চামচ, তেল পরিমানমত বা ২ কাপ, জল পরিমানমত(তবে মনে রাখতে হবে খামির খুব বেশি শক্ত বা নরম হবে না নরমাল রুটির মত হবে)।
পুর বা ভর্তার জন্য উপকরণ:
ছোলা বা বুটের ডাল ১ কাপ, আলু সেদ্ধ বড় ১ টি, আদা বাটা –আধা চা চামচ, জিরা বাটা -আধা চা চামচ, নুন - স্বাদ মত, কাচা লঙ্কা কুচি- ইচ্ছা মত, চাট মশলা- পরিমান মত, পিঁয়াজ কুচি -১ চামচ
তেতুলের টক তৈরির উপকরণ:
তেঁতুলের ৫০ গ্রাম, ভাজা ধনে ও জিরার গুড়া আধা চা চামচ, শুকনো ভাজা লঙ্কা গুড়া আধা চা চামচ, নুন - স্বাদমত, চিনি- স্বাদমত।
ফুচকা প্রস্তুত প্রনালি বা ফুচকা তৈরির রেসিপি:
পুরি বা পাঁপড়ের জন্য প্রথমে একটি বাটিতে পরিমাপকৃত ময়দা, সুজি, সরিষা গুড়া,তালমাখনা বা।এরপর চামচ দিয়ে খুব ভালো ভাবে মিক্স করুন। চাইলে হাত দিয়েও মিক্স করতে পারেন।ভাল ভাবে মিক্স করার পর জল দিয়ে খামির তৈরি করে নিন। এরপর ডোটি ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর রুটির মত বেলে ফুচকার সাইজে ছোট ছোট করে কাটুন।আর রুটি তৈরির সময় যেন পিড়িতে লেগে না যাই তাই সামান্য হাতে নিয়ে পিড়িতে লাগিয়ে নিতে হবে। অপর দিকে তেল গরম দিন। ছোট ছোট কেটে রাখা পুরি গুলো ডুবো তেলে বাদামি করে ভেজে তুলুন।
ফুচকা পরিবেশনঃ
পরিবেশন নতুন করে কি শেখাবো। সেটা তো সবার জানা। তবুও নতুন দের জন্য বলছি পুরি বা পাপড় গুলো হাত দিয়ে ফুটো করে তাতে তৈরি কৃত পুর বা ভর্তা গুলো ঢুকিয়ে দিন। এরপর তেঁতুলের টক দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ফুচকা।
২. জিভে জল আনা দই ফুচকা
অনেকেরই দই ফুচকার নাম শুনেই জিভে জল এসে পড়ে। কিন্তু দামের কারণে কিংবা দোকানে গিয়ে খাওয়ার ঝামেলার কারণে যখন খুশি তখন খাওয়া যায় না দই ফুচকা। কিন্তু ভেবে দেখুন তো দই ফুচকা বাড়িতেই বানানো গেলে কেমন হতো? খুব সহজেই বাড়িতেই বানিয়ে ফেলা যায় দই ফুচকা। আসুন জেনে নেয়া যাক রেসিপিটি।
দই ফুচকা তৈরী করতে গেলে প্রথমেই একই রকম ভাবে বানিয়ে ফেলুন ফুচকার বল। ফুচকার বল তৈরী করার পদ্ধতি আপনারা জেনেই গেছেন। এরপর পরের ধাপ থেকে দেখুন।
পুর তৈরির উপকরণ
দুই কাপ সেদ্ধ আলু, দুই টেবিল চামচ আস্ত ধনে, দুই টেবিল চামচ জিরা, এক টেবিল চামচ গোলমরিচ, সব উপকরণ দিয়ে মাখাতে হবে। একসঙ্গে শুকনা তাওয়ায় নিয়ে টেলে ঠান্ডা হলে গুঁড়ো করে নিতে হবে।
দইয়ের সসের উপকরণ
দই দুই কাপ, নুন ১ চা চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১/২ কাপ (খুব মিহি কুচি), সব উপকরণ একসঙ্গে ফেটে নিতে হবে।
দই ফুচকা প্রস্তুত প্রণালী
প্রতিটি ফুচকার উপরে কিছুটা ভেঙ্গে নিন। এরপর ভাঙ্গা অংশে পুর ঢুকিয়ে নিন। এরপর ফুচকার উপর দইয়ের সস দিয়ে দিন। এবার দইয়ের উপর পুদিনা কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি ও ভাজা জিরা গুড়া দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার দই ফুচকা।
টক-ঝাল মুখরোচক চুরমুর
বর্ষা কালে টক-ঝাল মুখরোচক চুরমুর খেতে দারুণ লাগে। আবার এই সময় জল থেকে সংক্রমণ হয়ে পেট খারাপেরও ভয় থাকে। তা বলে কি চুরমুর খাবেন না? বাড়িতেই বরং বানিয়ে নিন।
কী কী লাগবে
ফুচকা বল: ১০-১২টা (প্রণালী ওপরের অংশে পরে নিন), আলু: ১টা (মাঝারি সাইজের) ডুমো করে কাটা, ভেজানো ছোলা: ১/৪ কাপ, ভাজা জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ, বিট নুন: ১/২ চা চামচ, ধনেপাতা কুচি: একমুঠো, কাঁচা লঙ্কা কুচি: ২-৩টে, তেঁতুল জল: ১/৮ কাপ, লেবুর রস: ১ চা চামচ
কী ভাবে বানাবেন
আলুর সঙ্গে সব গুঁড়ো মশলা মিশিয়ে ম্যাশ করে নিন। এর মধ্যে ফুচকা ভেঙে দিন। ছোলা, কাঁচা লঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি, লেবুর রস, তেঁতুল জল দিয়ে ভাল করে মেখে সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশন করুন।