কত বছর বয়সে ফেসিয়াল করা উচিত
২৪/২৫ বছর বয়স থেকেই বিশেষভাবে ত্বকের যত্ন, খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম ইত্যাদির দিকে নজর দেয়া উচিত। ফেসিয়াল করানোর আগে ত্বক পরীক্ষা করে নিন। যেমন : স্বাভাবিক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক, শুষ্ক ত্বক, মিশ্র ত্বক, সেনসিটিভ ত্বক। ত্বকের ধরন জানা থাকলে পরিচর্যা করা সহজ। ত্বকও থাকে সতেজ ও সহজ।
আসলে ফেসিয়ালের ক্ষেত্রে সবসময়ই প্রাপ্তবয়ষ্ক হতে বলা হয়।এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় নূন্যতম ১৮ বছর ধরা হয়।কারন কৌশরে ত্বক অনেক বেশি কোমল থাকে।এইসময় অতিরিক্ত কেমিক্যালের ব্যবহার ত্বকের ক্ষতি করে। তবে আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে যতটুকু জানি,এইসময় দু’একবার ফেসিয়াল করলে তেমন কোন সমস্যা হয়না।কিন্তু প্রাপ্তবয়ষ্ক না হয়ে নিয়মিত ফেসিয়াল করা উচিত নয়। তবে প্রয়োজনে যদি করতে চান তাহলে গোল্ড,চকলেট অর্থাত্ কেমিক্যাল ফেসিয়াল না করে হারবাল ফেসিয়াল ব্যবহার করা উচিত
কীভাবে বুঝবেন আপনার ত্বকের প্রকৃতি : সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধোয়ার আগে টিস্যু মুখের ওপর চেপে ধরুন। তারপর লক্ষ করুন।
১. স্বাভাবিক : টিস্যুতে সামান্য তৈলাক্ত ভাব দেখতে পাবেন।
২. শুষ্ক : তৈলাক্ত ভাব দেখবেন না।
৩. তৈলাক্ত : টিস্যু বেশি পরিমাণে তৈলাক্ত।
৪. মিশ্র : টিস্যুতে ছড়ানো-ছিটানো তৈলাক্ত ভাব দেখবেন।
চার ধরনের ফেসিয়ালঃ
১. গোল্ডঃ গোল্ড ফেসিয়াল ত্বকে সুন্দর একটা সোনালি আভা এনে দেয়। সব ধরনের ত্বকের জন্যই এটি উপযোগী। বিয়ের সাজের আগে এই ফেসিয়ালটা খুব বেশি কার্যকর।
২. পার্লঃ পার্ল ফেসিয়াল করার পর ত্বকে সাদা আভা আসে, যা অনেক দিন স্থায়ী হয়। স্পর্শকাতর ছাড়া সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী।
৩. অ্যালোভেরাঃ শুষ্ক ত্বকের জন্য কার্যকর। রোদে পোড়া ভাব দূর করে এবং ত্বকের মরা কোষ সরিয়ে ফেলে। এ ছাড়া ব্রণ ও মেছতার দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
৪. ফু্রটঃ একমাত্র ফু্রট ফেসিয়ালই স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য উপযোগী। এই ফেসিয়ালে মিঙ্ড ফু্রট ক্রিম ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ত্বকের গভীর থেকে ময়লা পরিষ্কার করে। মুখের ত্বক টানটান রাখে।
কিছু টিপসঃ
* মেয়েদের ২৩-২৪ বছর বয়স থেকেই বিশেষভাবে ত্বকের যত্ন, খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম ইত্যাদির দিকে নজর দেওয়া উচিত।
* প্রচণ্ড গরম, তাই বেশি করে পানি পান করুন। ত্বকের সজীবতা বৃদ্ধি পাবে।
* এখন বাজারে অনেক মৌসুমি ফল পাওয়া যায়। বেশি বেশি ফলের রস ও ফল খান, এতে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
* বাইরে থেকে এসে সম্পূর্ণভাবে মেকআপ তুলে ফেলুন।
* সব আবহাওয়ায়ই ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন।
* নিয়মিত চুল পরিষ্কার করুন। কেননা চুলের ময়লা ত্বকের ক্ষতি করে থাকে।
* বি্লচ ও ফেয়ার পলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ভালো ফল দিলেও আসলে এগুলো ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে সৌন্দর্যচর্চায় সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।
* বাজারে গোল্ড, অ্যালোভেরা, ফ্রুট ফেসিয়াল ইত্যাদি পাওয়া যায়। কেনার সময় লক্ষ করুন, এতে কোনো কেমিক্যাল উপাদান যেমন_ফেয়ার পলিশ বা বি্লচ ইত্যাদি আছে কি না।