মেছতার দাগ প্রতিরোধ করার ঘরোয়া ৭টি উপায়
দৈনন্দিন জীবনে হাজারো ব্যস্ততার কারণে আমাদের বাইরে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। এতে করে ত্বক ও স্বাস্থ্য দুই-ই খারাপ হয়ে যায়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবের ফলস্বরুপ কারো কারো মুখে খুব বিশ্রি রকম বাদামী ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। ভালো বাংলায় এটিকে ‘মেছতা’ বলে। একবার যদি ত্বকে মেছতা পড়ে যায়, সেটিকে সারিয়ে তোলা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও ঘরোয়া উপায়ে মেছতা সারানোর অনেক উপায় আছে। আর তাই, আজ আবারও নিয়ে এলাম মেছতা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় নিয়ে।
আজকের ফিচারে আলোচনা করা হবে কীভাবে মেছতার হাত থেকে আপনি কয়েক ধাপ দূরে থাকবেন। চলুন সেগুলো আলোচনা করা যাক-
সানব্লক ক্রিম ব্যবহার করুন –
বাইরে যাবার অন্তত ত্রিশ মিনিট পূর্বে অবশ্যই সানব্লক ক্রিম লাগান মুখে ও শরীরের অন্যান্য অনাবৃত অংশগুলোতে। আপনার সানব্লক ক্রিমের এসপিএফ (সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর) যেন অবশ্যই ৩০ কিংবা তার বেশি হয়। দুই ঘণ্টা পর পর এটি পুনরায় লাগাবেন। আপনি চাইলে প্রতিদিন যে মেকআপ করেন যেমন ফাউন্ডেশন, কনসিলার, কমপ্যাক্ট পাউডার ইত্যাদিতেও যেন এসপিএফ থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন –
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করা উচিৎ। এটি শুধুমাত্র আপনার শরীরকেই সুস্থ রাখবে না বরং ত্বককেও সতেজ ও প্রাণবন্ত করে তুলবে। আপনি শুধু পানি পান করতে না চাইলে তার মধ্যে লেবুর রস দিয়ে নিতে পারেন ইচ্ছে করলে।
অতিরিক্ত রোদ থেকে ত্বককে বাঁচান –
পার্কে কিংবা সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গেলে অবশ্যই মুখ ওড়না কিংবা হ্যাট দিয়ে ঢেকে নিন। আমাদের মুখের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। রোদের তাপ থেকে এটি বাঁচানো খুব জরুরী।
ত্বকের যত্ন –
নিয়মিত ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য একটি রুপচর্চা রুটিন অনুসরণ করুন। মেছতা কিংবা বাদামী ছোপ ছোপ দাগ ত্বকে বসে যাওয়ার আগেই এটিকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করুন। এমন কিছু সামগ্রী ব্যবহার করুন যাতে করে ত্বকের কোন ক্ষতি না হয়।
ওয়াক্সিং থেকে দূরে থাকুন –
নিয়মিত ওয়াক্সিং করলে মুখে মেছতা পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আপনি লোম অপসারণ করার জন্য অন্য কোন উপায় অবলম্বন করুন, তবুও ওয়াক্সিং থেকে দূরে থাকুন।
সুষম খাবার গ্রহণ –
স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার খেলে আপনার স্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গে আপনার ত্বক ও ভালো থাকবে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই ফল, সবজি ও আঁশজাতীয় খাবার রাখার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার ত্বক ও চুল দুই-ই ভালো থাকবে।
মানসিক চাপ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন –
আমাদের সবার জীবনই বিভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ। তার মানে কিন্তু এই না যে সর্বদা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে থাকতে হবে। যতদূর সম্ভব চিন্তা কম করুন। নিজেকে যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম দিন এবং সময় দিন। আপনি কয়েক ধরণের মেডিটেশন, ইয়োগা ও ব্যায়াম করতে পারেন।
দেখলেন তো, মেছতা যেন না হয় সেজন্য কতো ধরণের ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে। এগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন। আশা করা যায়, আপনি মেছতা কিংবা ত্বকে বাদামী দাগ থেকে অনেক দূরে থাকবেন।