‘রাধা’ ওরফে এমিলি’র সম্পর্কে যে গোপন তথ্য ফাঁস!
‘রাধা’ সিরিয়াল দিয়েই কি তোমার অভিনয়ের শুরু ?ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় স্কুলে আমি নাটক করি আর সকলেই আমার অভিনয়ের সুখ্যাতি করেছিল। সেখান থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। অভিনয়ের অ আ ক খ শেখার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানেও ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু তারপর বেশ কয়েক বছরের অপেক্ষা, কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। পরিচালক সুশান্ত দাসের সঙ্গে আমার এক বন্ধুর সাহায্যে পরিচয় হয়। অনেক স্ট্রাগল করার পর ‘রাধা’ চরিত্রে আমি সিলেক্ট হই। কতদূর লেখাপড়া করেছ?স্নাতক পড়তে-পড়তেই সিরিয়ালে চলে আসা। আর এজন্য মাঝপথে পড়া থামিয়ে দিতে হয়েছে। তবে এই সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর স্নাতক স্তরে লেখাপড়াটা শেষ করবই। তুমি কি বরাবরই ভারী চেহারার অধিকারী?আমি আগে বেশ রোগাই ছিলাম। আমাকে এই চরিত্রের জন্য খাইয়ে-খাইয়ে মোটা করা হয়েছে। এই সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর আমি আবার স্লিম হওয়ার আপ্লাণ চেষ্টা করব। তোমার কি মনে হয়, একমাত্র চেহারাই একটা মানুষের যোগ্যতার মাপকাঠি হতে পারে?আমি তো এই সিরিয়ালে এই মেসেজটাই দিতে চেয়েছি, মোটা হওয়াটা কোনও অপরাধ নয়। মোটা হলে সে কিছু করতে পারবে না, এমন কথা ভাবাটাই ভুল। আর চেহারা দিয়ে কাউকে বিচার করা চলে না।
যে-কোনও মানুষকে তার মন, বুদ্ধি দিয়েই বিচার করা উচিৎ। অবসর সময়ে তুমি কি করতে ভালবাস?অবসর সময় আমি নাচ করি। ভরতনাট্যম শিখেছি। এছাড়া সময় পেলেই টিভি দেখি। আমার বাড়িতে কুকুর (গোল্ডেন রিট্রিভার প্রজাতির) ছিল, তার নাম ঋকু। আরেকটি কুকুর, তাকে আমার বাবা রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনেছিল, কিন্তু ও ঋকুর সঙ্গে মিশে ওর মতোই বনেদি কুকুর হয়ে দিয়েছিল। প্রথম-প্রথম শুটিংয়ে কতগুলো ‘এন জি’ দিতে হত?আমি এখনও শট দিতে গিয়ে পরিচালকের বকুনি খাই। আগে তো আরও বেশি বকুনি খেতাম। তবে এগুলোকে বকুনি বলা ঠিক নয়। আমি ছোটবেলা থেকে অভিনয় করিনি। তাই ক্যামেরা ফেস করতে গিয়ে আমাকে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হত। তারপর আমাকে সেসব বিষয়ে ওয়াকিবহাল করা হয়। শুনেছি, তুমি খুবই চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে। শট দিতে গিয়েও তাই অমনোযোগী হয়ে পড়?সত্যি কথা, আমি ডায়লগ ভুলে যাই। আমার আশে-পাশে কী হচ্ছে , এসব দিকে আমার বড়ই চোখ চলে যায়। একমনে আমি সংলাপ বলতে পারি না, কোনও কাজও ঠিকঠাকভাবে শেষ করতে গিয়েও হয় না। এজন্য পরিচালক খুবই বিরক্ত হয়ে যান। ক্ষেপেও যান। কিন্তু ধীরে-ধীরে এটাকে আমি ওভারকাম করার চেষ্টা করেছি। বয়ফ্রেন্ড আছে?ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছে।
কারণটা হল, দু’জনে কিছুতেই মানাতে পারছিলাম না। একসঙ্গে থাকতে আর ভাল লাগছিল না।রাধা ও এমিলার মধ্যে কোনও বিষয়ে মিল আছে, আর কতটা অমিল?রাধা ও এমিলার মধ্যে মিল কিছু জায়গায় আছে। তবে এমিলও অনেক। রাধা খেতে ভালবাসে, এমিলাও তাই। তবে এমিলা বুঝেশুনে খায়। ফুচকা, বিরিয়ানি ও চিকেন সবচেয়ে পছন্দের খাবার। মাছ একদম ভালবাসি না। এমিলা ছোট খাটো ব্যাপারে কেঁদে ফেলে, নরম মনের মেয়ে। রাধা খুবই শক্ত।এরপর তোমার লক্ষ কি?বড় পরদার নায়িকা হওয়া। আর নিজেকে সেজন্য উপযুক্তভাবে তৈরি করা।