রান্নাবান্নার ভুল গুলোকে “শুধরে” নেয়ার কিছু কার্যকরী টিপস
(১) অনেক সময় তরকারিতে তেল বেশি হয়ে যায়। কী করবেন তখন? প্রথমে তরকারিটি ঠান্ডা করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নামতে দিন। তারপর পরিমাণ বুঝে নিয়ে ছেড়ে দিন কয়েক টুকরো বরফ। কয়েক সেকেন্ড পর দেখবেন বরফের শরীরে বসে গেছে বাড়তি তেল। তাড়াতাড়ি বরফ তুলে ফেলে দিন। আবার গরম করে নিন তরকারি।
(২) পাউডার দুধ তাড়াতাড়ি গুলতে শুকনো ডিশে পাউডার দুধের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে নিয়ে তারপর ঠান্ডা বা গরম যে কোন পানি দিয়ে দুধ গোলা যায় সহজে।তরকারিতে লবণ বেশি দিয়ে ফেললে এক দলা ময়দার খামির তরকারিতে ছেড়ে ফুটতে দিন। পরে ময়দার দলাটি তরকারি থেকে তুলে ফেলে দিন। তরকারির অতিরিক্ত লবণ কমে যাবে। মাংস সিদ্ধ না হলে কাঁচা পেঁপের টুকরো ফেলে দিতে পারেন মাংসের হাঁড়িতে অথবা সুপারির বড় টুকরা ফেলে দিন।
আবার রান্না শেষে সুপারির টুকরোটি তুলে ফেলুন। অসাবধানতা বশত পোলাও রান্না শেষে দেখলেন খুব বেশি নরম বা জ্যাবজ্যাবে হয়ে গেছে, তখন একটুও মন খারাপ না করে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তোয়ালে বিছিয়ে তার ওপর পোলাও ঢেলে রেখে দিন।
কিছুক্ষণ পর দেখবেন পোলাওয়ের জ্যাবজ্যাবে ভাবটি তোয়ালেতে টেনে কেমন ঝরঝরে করে তুলেছে।গরম চা বা কফি খেতে গিয়ে অনেক সময় জিভে ছ্যাঁকা লাগে তখন যদি মুখে কিছুটা চিনি দিয়ে রাখা যায় বিশেষ উপকার পাবেন। গুড় দিয়ে পায়েস করতে গেলে অনেক সময়ই দুধটা ফেটে যায়। সে ক্ষেত্রে দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে গুড় মেশাতে হবে। এবার আর একবার ফুটিয়ে নিলেই
চমৎকার গন্ধ হবে।আচার তৈরি করার আরও একটি ভালো উপায় হলো তেল প্রথমে গরম করে নিয়ে তারপর ঠান্ডা করে ব্যবহার করা, এতে ছাতা পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। কাঁচা তেল ব্যবহার না করাই ভালো। টাটকা পেঁপের ঘন কষ একটা কাঁচ বা ছোট প্লেটে রাখুন।
কষ জমে গেলে, কষের সমপরিমাণ লবণ মিশিয়ে রোদে দিন। শুকিয়ে গেলে গুঁড়ো করে মুখ বন্ধ শিশিতে রেখে দিন। মাংসের পরিমাণ বুঝে ১/২ চা চামচ বা ১ চা চামচ গুঁড়ো কষ কাটা মাংসে ভালো করে মেখে ঘণ্টাখানেক ঢেকে রাখুন।
ঘন্টাখানেক পর মসলা ইত্যাদি দিয়ে যেমন মাংস হয় রান্না করুন। তাড়াতাড়ি মাংস সেদ্ধ হবে। যে সময় বা যে জায়গায় হাতের কাছে কাঁচা পেঁপে নেই অথচ মাংস তাড়াতাড়ি রান্না দরকার তখন ওই গুঁড়োটি কাজে লাগে।
রান্না করার পর ছ্যাঁকা লাগলে বা গরম তেল ছিটে হাতে বা অন্য কোথাও পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গায় লবণ দিয়ে চেপে কিছুক্ষণ বেঁধে রাখলে ফোসকা পড়ে না। লবণ ও মাটি একত্রে
মোটা করে লাগালে জ্বালা কমে, ফোসকা পড়ে না।