মুচমুচে নিমকি তৈরি করার প্রনালী
চায়ের সাথে বা বিকেলের নাস্তায়, কিংবা আপনার সন্তানের টিফিনে, নিমকি কিন্তু সব যায়গায় প্রিয়। নোনতা বা মিস্টি ২ ভাবেই দারুন মুখরোচক খাবার নিমকি। নিমকি তৈরি করাও তেমন কষ্টের নয়। খুব দ্রুত তৈরি করা যায়, আবার বোয়েমে ভরে দীর্ঘদিন সংরক্ষণও করা যায়।
উপকরনঃ ময়দা ২ কাপ, তেল ২, ১/২ টেবিল চামচ, চিনি ১/২চা চামচ, লবন হাফ চা চামচের চেয়ে কম বা পরিমান মত, কালো জিরা ১ চা চামচ, বেকিং পাউডার ১/২চা চামচ, নরমাল পানি প্রয়োজন মত বা ১ কাপ। ডালডা বা ঘি ১ টেবিল চামচ + ময়দা বা কর্ণফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ একটি বাটিতে নিয়ে মিক্স করে একপাশে রেখে দিন। নিমকির ভাজ দেয়ার সময় রুটির উপর লাগাতে হবে পরে।
পদ্ধতিঃ প্রথমে, একটি বড় বাটিতে, ময়দা, লবন, চিনি ,বেকিং পাউডার, কালো জিরা নিয়ে ভাল করে মিক্স করে নিন। এবার তেল দিয়ে আবার ভাল করে মিক্স করে নিন। এখন পানি অল্প অল্প দিয়ে মাখাতে হবে। পানি এক সাথে ঢেলে দিবেন না। শক্ত খামির হবে, বেশী শক্ত ও হবে না। লুচির খামিরের চেয়ে একটু শক্ত হবে।
এবার খামির টা ঢেকে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। ১৫ মিনিট পর খামির কয়েক ভাগে ভাগ করে নিন খামির। এখন পিডিতে ময়দা বা কর্ণফ্লাওয়ার ছিটায় একটি খামির নিয়ে পাতলা করে রুটি বেলে নিন , এখন , রুটির উপর ঘি /ডালডা মিশ্রন অল্প চামচে নিয়ে স্প্রেড করে দিন এবং ভাজ করে নিন। আবার উপরে ঘি মিশ্রণ টা লাগিয়ে রুটি ভাজ দিন, তিন ভাজ হবে। উপরের কোনাটা একটু চেপে দিন। এভাবে সব করে নিন।
কড়াইতে তেক গরম তেল গরম করে মিডিয়াম আচেঁ সময় নিয়ে সোনালি কালার করে ভেজে নিন। ১০-১২ মিনিট লাগবে ভাজতে। তেল বেশি গরম হলে চুলা বন্ধ করে কয়েক সেকেন্ড পর আবার চুলা অন করে মিডিয়াম আচেঁ ভাজুন। বেশ হয়ে গেল মজাদার নিমকি। টিনে ভরে অনেক দিন রাখা যায়। মিষ্টি খেতে চাইলে সিরা করে উপরে দিতে পারে।