ব্রণ হয়েছিলো, এখন ব্রণ না থাকলেও থেকে গেছে দাগ, দাগ সারানোর উপায় কি?
পেঁয়াজ: কালো ছোপ দূর করতে পেঁয়াজ দারুণ কার্যকরী। একটা স্লাইস নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ঘষুন ৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন
লেবু : লেবু ত্বকের কালো দাগ ছোপ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। তুলোর সাথে লেবুর রস নিন, তারপর কালো দাগে ৫ মিনিট ঘষে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ৩/৪ বার ব্যবহারে উপকার পাবেন। তবে মুখে বা শরীরের কোথাও লেবু লাগাবার পর সরাসরি সূর্যের আলোতে যাবেন না।
পেঁপে : পাকা পেঁপে কালো দাগ দূর করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি উপাদান। পাকা এক টুকরো পেঁপে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ভালো করে ঘষুন। আধা ঘণ্টা রাখুন, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ৩/৪ বার করুন।
অ্যালোভেরা : শুধুমাত্র ব্রণ কমাতেই নয়, ত্বকের কালো দাগছোপ দূর করতেও অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। অ্যালোভেরা জেল বের করে আক্রান্ত স্থানে মাখুন আলতো হাতে। এমন ভাবে ম্যাসাজ করুন যেন অ্যালোভেরা জেল ত্বক একদম শুষে নেয়। ঘণ্টা খানেক ত্বকে রাখার পর ধুয়ে ফেলতে পারেন।
কলা ও লেবুর মাস্ক : পাকা কলা ও লেবু মিশিয়ে (একটা কলা ও একটা লেবু অনুপাতে) মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে, গলায়, হাতে, পায়ে যে কোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। রোজ লাগান কালো দাগে, ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন
রোদে পোড়া ত্বকের কালো দাগ যেভাবে দূর করবেন : লেবুর রস ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে ১০ থেকে ১৫মিনিট ম্যাসাজ করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রসের সাইট্রিক এসিড রোদে পোড়া দাগ দূর করবে। মধু এবং লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের পোড়া দাগ দূর করে ত্বককে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে। কাঁচা দুধ, কাঁচা হলুদ বাটা এবং লেবুর রস মিশিয়ে পেস্টের মতো করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এরপর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যব বা গমের আটার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। যব বা গমের আটা মরা বা শুষ্ক চামড়া পরিষ্কারের কাজ করবে আর দুধ ত্বককে মসৃণ করে তুলবে অ্যালোভেরা ও টমেটোর রস ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার রস ও টমেটোর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
ব্রণ দূর করার চেয়ে ব্রণের দাগ দূর করা বেশ কঠিন। প্রাকৃতিক উপাদান এবং ডাক্তারের সাহায্যে ব্রণ দূর করা যায়। কিন্তু ব্রণের এই জেদি দাগগুলো থেকেই যায়। কিছুতেই যেতে চায় না। প্রাকৃতিক উপাদান এবং ডাক্তারের সাহায্যে ব্রণ দূর করা যায়। কিন্তু ব্রণের এই জেদি দাগগুলো থেকেই যায়। কিছুতেই যেতে চায় না। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো। তাই, ভুলেও নখ লাগাবেন না বা চাপ দিবেন না। চুলকানি হলেও স্পর্শ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। আর যদি প্রতিকারের জন্য কোন ওষুধ বা কোনও কিছু ব্যবহার করেন, তবে অবশ্যই আলতোভাবে করতে হবে। সূর্যের আলোতে ব্রণের দাগ বসে যায়। তাই চেষ্টা করবেন সূর্যের সংস্পর্শ থেকে নিজেকে দূরে রাখার। লেবুর রসের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে একটি তুলার বলের সাহায্যে তা মুখে ৩-৪ মিনিট ঘষুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ থাকা অবস্থায় লেবু ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ভালো করে ধুয়ে মধু লাগান। সারারাত তা রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে তা ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুইবার অ্যালোভেরা জেল মুখে লাগান এবং ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি শুধুমাত্র ব্রণের দাগই দূর করবে না, বরং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং টানটান হবে। একটি লাল টমেটোর কিছু অংশ নিয়ে তার রস নিন। এরপর তা শশার রসের সাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ বার এই প্যাকটি লাগান। ব্রণের দাগ দূর তো হবেই সেই সাথে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। উপরের সবগুলো উপাদান ত্বকের দাগ দূরের জন্য বেশ উপকারী। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী যে উপাদান বেশি ভালো তা ব্যবহার করুন এবং আপনার ত্বকের যত্ন নিন, বেশি করে পানি পান করুন, সুস্থ্য ও সুন্দর থাকুন।