প্রাচীন আয়ুর্বেদিক গ্রন্থে এক খাবারে সঙ্গে অন্য খাবারের সংমিশ্রণের ফলে বিষক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞানও বিশ্বাস করে যে, কিছু খাবার শরীরের মধ্যে একই সঙ্গে প্রবেশ করলে ‌ওইসব খাবারের মিশ্রণের কারণে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।

কাজেই ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য অবস্থা থেকে এড়াতে চাইলে নিচের কিছু খাদ্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো। টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে তেমন কিছু খাবারের কথা তুলে ধরা হল-

তরমুজ ও পানি

প্রবাদে আছে ‘ফল খেয়ে জল খেয় না’। ঠিক তেমনি একটি পানীয় ফল তরমুজ। এমনিতেই প্রচুর পানি কাজেই তরমুজ খাওয়ার পর পানি না খাওয়াই ভালো।

চা ও দই

চা এবং দই উভয় পানীয়তেই অ্যাসিড থাকে। তাই সাধারণ ভাবেই বলা যায় যে এ দুইটি পানীয় শরীরের মধ্যেকার ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। যার ফলে হজমে সমস্যা হয়। তাই এই খাবার দুইটি এক সঙ্গে না খাওয়াই ভালো।

দই ও ফল

আয়ুর্বেদিক গ্রন্থের মতে যখন খার যুক্ত খাবারগুলি দইয়ের সাথে মিলিত হয়, তখন তারা অ্যাসিড তৈরি করে যা শরীরের পরিপাককে বাধাগ্রস্ত করে।

মাংস ও দুধ

সাধারণত, মাছ, ডিম, কলিজা ও মাংসে প্রচুর প্রোটিন ও আমিষ থাকে। আর অপরদিকে দুধ কে সুষম খাদ্য বলা হয়ে থাকে। কাজেই খাদ্যের একাধিক পুষ্টি উপাদানের মধ্যে আবার একই পুষ্টি উপাদান মিলে গেলে তা শরীরের জন্য ভালো নয়।

দুধ ও লেবু

যখন দুধ লেবু যোগ করা হয় তখন দুধ ফেটে যায়। পেটের ভিতরেও একইরকম হয়। যদিও এটি সাধারণত বিশ্বাস করা হয় যে পেটে পাচক রস লেবুর তুলনায় অনেক বেশি অ্যাসিডের ভাগ থাকে। তবে আয়ুর্বেদ ও ঐতিহ্যগত বিজ্ঞান এই দুটি উপাদানকে বিষাক্ত বিবেচনা করে।

দুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক

কয়েকটি ঔষধ আছে যা শরীরে লোহা ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজের শোষণকে প্রতিরোধ করে, তাই যারা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করছেন তাদের ঔষধ চলাকালীন সময় দুধ পান না করাই ভালো।

কোমল পানীয় ও পুনিদা পাতা

আমরা সাধারনত ইউটিউব এবং হোয়াটস অ্যাপ এ অনেক বার এ ধরনের সতর্কতাশূলক ভিডিও দেখে থাকি। কিভাবে পুদিনা কোলার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। বিশ্বাস করা হয় যে, এই দুটি একত্রিত হলে শরীরের ঝুঁকির পরিমান থাকে। কাজেই কোকা-কোলার সাথে পুদিনা মেশানো উচি নয়।