পিঠে ব্যাথা হলে যা করবেন
কর্মব্যস্ত দিনের পর পিঠ ব্যথা হলে তা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে ঘরোয়া কিছু উপায়ে।
সারাদিন বসে কাজ করার ফলে পিঠে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এতে ক্লান্তি অনুভূত হওয়ার পাশাপাশি পিঠে ব্যথাও হতে পারে। যত্ন নেওয়া না হলে এই ব্যথা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে পিঠব্যথা উপশমের ঘরোয়া কিছু টোটকা উল্লেখ করা হয়।
– নারিকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর গুঁড়া মিশিয়ে পাঁচ মিনিট চুলায় জ্বাল দিতে হবে। তেল ঠাণ্ডা করে একটি বোতলে সংরক্ষণ করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে ওই তেল পিঠে মালিশ করে নিতে হবে।
– এক বালতিকুসুম গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস ওয়েল বা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে গোসল করতে হবে। এতে কোমর ব্যথার পাশাপাশি শরীরের যেকোনো ব্যথা কমে আসবে। তাছাড়া শরীরের ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করবে এই পানি। চাইলে বাথটাবে যেকোনো এসেনশিয়াল অয়েল মিশ্রিত কুসুম গরম পানি নিয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলে শরীরের ক্লান্তি দূর হবে।
– টিভি দেখা বা গল্প বই পড়ার সময় পানি ভর্তি একটি হট ওয়াটার ব্যাগ পিঠের পিছনে কুশনের মতো দিয়ে রাখত হবে। পানির গরম ভাপ ব্যথা উপশমে সাহায্য করবে।
– গোসলে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে সরিষা তেল দিয়ে পিঠ মালিশ করুন। এর পর কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।
– এক গ্লাস হালকা গরম দুধে এক চিমটি হলুদ এবং খানিকটা মধু মিশিয়ে পান করতে হবে। পিঠ ব্যথা থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত এই দুধ পান করতে হবে। তাছাড়া মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং ঠাণ্ডার সমস্যা উপশমেও সাহায্য করে হলুদ দুধ।
– চা বানানোর সময় গরম পানিতে কয়েক টুকরা আদা দিন। আদা চা পিঠ ব্যথার তীব্রতা কমাতে সাহায্য করবে।
– যে কোনো ভেষজ তেল শরীর মালিশের জন্য বেশ উপকারী। পিঠব্যথা উপশমেও ভেষজ তেলের মালিশ সাহায্য করবে।
– একটি মোজা নিয়ে তার ভিতরে চাল ভর্তি করতে হবে। এরপর মোজার খোলা প্রান্তটি শক্ত করে বেঁধে মাইক্রোওয়েভে তিন থেকে পাঁচ মিনিট গরম করে মোজাটির উপর শুয়ে থাকতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় পিঠ ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়।