শুধরে নিন রান্নাঘরের টুকিটাকি ভুল গুলো
১। মাছ অতিরিক্ত ভাজার কারণে মাছ স্বাদ হারিয়ে ফেলে। কড়া ফ্রাইয়ের পরিবর্তে অল্প লবণে হালকাভাবে মাছ ভাজুন। এতে মাছের পুষ্টিগুণ অটুট থাকবে। স্বাদও।
২। মাছ ভাজার আগে পাত্রটি আগে গরম করে নিন। শিকাগোর রেস্ট্রুরেন্ট জিটি ফিশ এন্ড ওয়েস্টার এর এক্সিকিউটিভ শেফ ও পার্টনার জিউসপি টেন্টুরি বলেন, “চুলায় পাত্র রেখে ৩-৫ মিনিট তাপ দেয়ার পর মাছ দিন”। এতে মাছ উল্টে দেয়া সহজ হবে।
৩। অধিকাংশ মানুষেরা মাছ শুধু পানি দিয়ে একবার ধুয়ে ফেলেন। তারপর রান্না করে থাকেন। এতে মাছের গায়ে আঁশটে গন্ধ রয়ে যায়। মাছ হলুদ এবং লবণ মিশিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হলুদের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মাছের ময়লা দূর করে দেবে।
৪। ফ্রিজে থাকা মাছ রান্না করার বেশ কিছুক্ষণ আগে নামিয়ে ঠান্ডা পানিতে মাছের প্যাকেটটি ভিজিয়ে রাখুন। তাড়াতাড়ির জন্য গরম পানিতে ভেজাবেন না তাহলে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর সুযোগ তৈরি হয়।
৫। অনেকক্ষণ ধরে জ্বাল দিয়ে রান্না করলে মাছের স্বাভাবিক স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। মাছের টুকরার সাদা অংশগুলো যখন অস্বচ্ছ হয়ে আসবে কিন্তু মাঝের অংশটুকু কিছুটা স্বচ্ছ থাকবে তখনি চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
৬। রান্নার সময় মাছ বেশি নাড়বেন না। এতে মাছ ভেঙ্গে যেতে পারে।
৭। মাছ ম্যারিনেট করার সময় খুব অল্প পরিমাণ লবণ দিন। সুস্বাদু করার জন্য লেবু, জলপাই তেল, মৌরি দিন। খুব বেশিক্ষণ ম্যারিনেট করা যাবেনা, তাহলে মাছ বেশি নরম হয়ে যাবে।
৮। বড় চিংড়ি মাছ রান্না করার আগে ৪ মিনিট পানিতে সিদ্ধ করে নিন। এতে মাছের মিষ্টি মিষ্টি স্বাদ দূর হয়ে যাবে।
৯। ধারণা করা হয়, মাছ রান্না করলে মাছের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান গুলো কমে। ইনভাইরনমেন্টাল ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা যায় যে, কেবল রান্নার মাধ্যমেই খাদ্যে প্রকট জৈব রাসায়নিক কমানো সম্ভব।
১০। যদি এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের বেশি সময় মাছ সংরক্ষণ করা হয় এমনকি ফ্রিজেও যদি রাখা হয় তাহলে মাছের স্বাদ ও গুণগত মান কমতে থাকে। তাই মাছের পুষ্টি উপকারিতা ও পরিপূর্ণ স্বাদ পাওয়ার জন্য যত দ্রুত সম্ভব রান্না করে ফেলুন।
১১। মাছ কেনার সময় মাছের চোখ স্বচ্ছ ও উজ্জ্বল আছে কিনা দেখে নিন। তাজা মাছের শরীরে চাপ দিলে ডেবে যাবেনা। এছাড়াও মাছে আঁশটে গন্ধ হলে বুঝতে হবে যে এটা পচা শুরু হয়েছে।