বিয়ে একটি পারিবারিক বন্ধন। এই বন্ধনের মাধ্যমে দুই হাত এক করে নেয়া হয় সারা জীবন একসঙ্গে চলার পণ। দুইজন নারী ও পুরুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক এবং প্রণয়ের বৈধ আইনি চুক্তি ও তার স্বীকারোক্তি। বৈবাহিক চুক্তিকে ইসলামে বিয়ে হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বর ও কনের পারস্পারিক অধিকার ও কর্তব্যের সীমারেখা নির্ধারণ করে। বিয়েতে কনে তার নিজের ইচ্ছানুযায়ী মত বা অমত দিতে পারে। বিয়েতে বিশেষ করে কনের মতামতের গুরুত্ব অপরিসীম, তবে এক্ষেত্রে পুরুষের মতামতও প্রাধান্য পাবে।

বিয়েতে নারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কাবিননামা। এই কাবিননামায় স্বাক্ষরের আগে বেশ কয়েকটি বিষয় নারীদের খেয়াল রাখা জরুরি। কাবিননামায় দেনমোহর, উসুল, তালাক দেয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ থাকে। ইসলামি শরিয়া মোতাবেক একজন নর -নারীর বিয়ে সম্পূর্ণ করার জন্য মুখে কবুল বলার চেয়ে কাবিননামায় স্বাক্ষর করা জরুরি।

কাবিননামায় দেহমোহর, উসুল, তালাক, সন্তানের ভরণপোষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে যুগান্তরের কাছে তুলে ধরেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও হাইকোর্টের সিনিয়ন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু। তিনি বলেন, বিয়ে হচ্ছে একটি পারিবারিক বন্ধন। বিয়েতে কাবিননামা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে মেয়েদের কাবিননামায় স্বাক্ষরের সময় কয়েকটি বিষয় মনে রাখা জরুরি। কারণ কাবিননামায় কোনো বিষয়ে হেরফের থাকলে পরবর্তীতে ওই নারী যদি তালাকপ্রাপ্ত হন, তবে তিনি আইনি সহায়তায় সঠিক বিচার পাবেন না।

আসুন জেনে নেই বিয়েতে কাবিননামায় স্বাক্ষর করার আগে নারীদের যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি।
দেনমোহর
বিয়েতে দেনমোহর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিয়ের কাবিননামায় দেনমোহর বিষয়টি উল্লেখ থাকে। যা স্বামীর বাসর ঘরে পা রাখার আগে পরিশোধ করতে হয়। তাই নারীদের কাবিননামায় স্বাক্ষরের আগে তার কাবিন কত টাকা ধার্য করা হয়েছে- তা দেখে নেয়া জরুরি।

উসুল
কাবিননামায় উসুল হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উসুল হচ্ছে গহনা বাবদ বিবাহিতা স্ত্রীকে দেয়া অর্থ । যে অর্থ দেয়া হবে তা কাবিননামায় উল্লেখ থাকে। যা পরবর্তীতে দেনমোহর থেকে কাটা যাবে।

তালাক
তালাক হচ্ছে বিয়ের বন্ধন ছিন্ন করা। কাবিননামায় বিষয়টি উল্লেখ থাকে । তাই কাবিননামায় স্বাক্ষর দেয়ার আগে তালাক দেয়া বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে কি না- তা দেখে নেয়া জরুরি।

সন্তানের ভরণপোষণ
স্ত্রীকে তালাক দেয়ার পর তার যদি কোনো সন্তান থাকে তবে ৭ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে। পরবর্তীতে সন্তান কার কাছে থাকবে- তা নির্ধারণ করবেন আদালত।