তুলতুলে রুটি বানানোর রেসিপি ও ১ সপ্তাহ সংরক্ষণ করার পদ্ধতি
অনেকেই ভাবতে পারেন এই রুটি বানানো একটা ব্যাপার হলো ? কিন্তু যারা কখনোই রান্না পারে না কিংবা মা এর কাছ থেকে শেখা হয়নি তাদের জন্য বিশাল এক ব্যাপার। বিশেষ করে রুটি গোল করতে। কিন্তু বানাতে বানাতে একটা সময় গোল হয়। কিন্তু তারপরেও একটা সমস্যা রয়ে যায়। রুটি অনেক শক্ত হয়ে যায়। এমন শক্ত যে তরকারির ঝোলে ডুবিয়েও নরম করা যায় না। আজ আপনাদের জন্য থাকছে সিদ্ধ আটার রুটি কিংবা চালের রুটি কিভাবে নরম বা মোলায়েম করা যায়। যাতে রুটি ভাজার অনেক্ষন পর পর্যন্ত নরম থাকে। তাহলে দেখে নিন টিপসটি।
সিদ্ধ রুটি নরম বানানোর জন্য যখন আমরা পানি বলক তুলি / পানি ফুটিয়ে নিন, ওই সময় পানিতে এক চা চামচ তেল দিয়ে দিলে রুটি অনেক নরম হয় এবং ভাজার সময় রুটি ফুলে উঠে, খুব বেশি দেয়া যাবে না তাহলে বেশি নরম হয়ে যায়। এভাবে বানিয়ে দেখতে পারেন। লাল আটা কিংবা প্লেইন আটা দিয়ে ঠিক একই রকম করে বানাতে পারবেন। আমি চালের রুটি বানানোর সময় ঠিক একই ভাবে বানাই। অনেক নরম হয়।
উপকরন - ময়দা/ আটা – পরিমান মত, পানি – পরিমান মত, লবন – পরিমান মত, তেল – পরিমান মত
প্রনালী -পানি ফুটিয়ে তাতে লবন ও তেল দিয়ে দিন। এবার ময়দা দিয়ে সেদ্ধ করে ময়ান করে রুটি বেলে নিন। তারপর রুটিগুলিকে গরম তাওয়াতে এপাশ ঐপাস ছেকে নিন। এবার সবগুলি রুটিকে অল্প সময়ে পাতলা কাপড়ের উপর ছড়িয়ে ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা করে বড় বাটিতে রেখে ভাল করে বাটির ঢাকনা লাগিয়ে দিন ও নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন। এবার যখন রুটি ভাজবেন তখন ফ্রিজ থেকে বের করে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।
যদি ২ কেজি ময়দার রুটি বানানো হয় তাহলে তাতে পৌনে এক কাপের মত তেল দিলে হবে। এছাড়াও প্রতিদিন রুটি বানানোর সময় একটু তেল দিলে ময়ানটা ভাল হয়। মনে রাখবেন ময়ান ভাল হলে রুটি বানাতেও সুবিধা আর রুটিও সুন্দর নরম হয়।