লম্বা চুলের যত্নে বেশ কিছু কার্যকরী টিপস
আগা ফাটা, মাঝ থেকে ভেঙে পড়া কিংবা পাতলা হয়ে যাওয়া- এই ধরনের সমস্যাগুলো লম্বা চুলে হয়েই থাকে। পরিত্রাণের জন্য নিতে হয় বাড়তি যত্ন। লম্বা চুল পরিচর্যা করতে একটু সময় দিতেই হয়। বাড়তি যত্নের জন্য রয়েছে নানা কৌশল। রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এ বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে লম্বা চুল সুন্দর রাখার পন্থাগুলো এখানে দেয়া হলো।
চুল আঁচড়ান সঠিকভাবে: ভেজা অবস্থায় চুল অনেক দুর্বল। তাই এই অবস্থায় আঁচড়ানো যাবে না। বরং ভালোভাবে মুছে চুল মসৃণ করার ক্রিম মেখে বা জট ছাড়ানোর স্প্রে ছিটিয়ে তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন।
জট ছাড়িয়ে রাখুন: লম্বা চুলে সহজেই জট বাঁধে। তাই আঁচড়ানোর সময় সচেতন হতে হবে। মোটা দাঁতের চিরুনির সাহায্যে অল্প করে নিচের থেকে চুল আঁচড়ে জট ছাড়িয়ে নিন।
অতিরিক্ত শ্যাম্পু নয়: প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করা মোটেও ভালো নয়। অতিরিক্ত শ্যাম্পু করলে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলও ধুয়ে যায়। ফলে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ। সপ্তাহে দু’তিন দিন শ্যাম্পু করাই যথেষ্ট।
কন্ডিশনার: চুল ঝলমলে ও কোমল রাখতে প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
আগা ফাটা রোধে: আগা ফাটার কারণে চুল দেখতে আরো পাতলা লাগতে পারে। অতিরিক্ত শ্যাম্পু, তোয়ালে দিয়ে ঘষাঘষি, স্টাইলিং টুলস ব্যবহার ইত্যাদি কারণে চুলের ক্ষতি হয় এবং আগা ফেটে যেতে পারে। এসব বিষয়ে সতর্ক থাকার পাশাপাশি নিয়মিত আগা ছেঁটে রাখুন।
কেশ পরিচর্যা: শুধু শ্যাম্পু করলেই হয় না, বাড়তি পুষ্টি জোগাতে নিয়মমতো তেল মালিশ ও চুল উপযোগী মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। চুলে শ্যাম্পু করার আগে অন্তত ৩০ মিনিট তেল দিয়ে রাখুন। তারপর কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
চুল বাঁধায় ভিন্নতা: প্রতিদিন একইভাবে চুল বাঁধলে একই অংশের চুল পাতলা হতে শুরু করে। তাই মাঝে মধ্যেই চুলের স্টাইলে পরিবর্তন আনতে হবে।