ওজন বাড়তে বাড়তে যখন শ্বাস নেয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে, তখন ওজন কমিয়ে আনা জরুরী হয়ে যায়। লুসি কারলেটনের সাথে তেমনি ঘটেছে। তার অতিরিক্ত ওজনের কারণে পিসিওএস রোগের লক্ষণ দেখা যায় এবং তা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

নারী দেহে হরমোনের অসামঞ্জস্যতার ফলে পিসিওএস রোগ হয়ে থাকে। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রম বা পিসিওএস- এক প্রকার হরমোনজনিত রোগ। এর উপসর্গ হতে পারে ওজন অকারণে বৃদ্ধি, অতিরিক্ত চুল পড়া, অনিয়মিত মাসিক, ব্রণ ইত্যাদি। বেশিরভাগ সময় এই সমস্যার জন্য মানসিক চাপ বা হতাশাকে দোষারোপ করা হয়ে থাকে।

লুসির রক্তচাপ অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যায় এবং এত বেশি পরিমাণে শরীর দুর্বল হয়ে যায় যে, সে একা একা চলতে পারে না। এরপরে সে ওজন কমানোর জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। সে তার ৩১ কেজি ওজন কমানোর পথযাত্রা টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে শেয়ার করেন। ২১ বছর বয়সী লুসির ওজন ৯৭ কেজি পার হয়ে যায়, যেখানে তার উচ্চতা কেবলমাত্র ৫ ফিট ৫ ইঞ্চি। কিন্তু এখন তিনি ৩১ কেজি ওজন কমিয়ে এনেছেন।

তার সারাদিনের ডায়েট চার্ট এখানে আলোচনা করা হল-

সকালের নাস্তায়: ওটস, কাঠ বাদাম কুচি, আধা কাপ ফল এবং ২টি সেদ্ধ করা ডিম

দুপুরের খাবার: ১/৪ গ্রিল করা মুরগীর মাংস, লাল চালের ভাত, ১/৪ অ্যাভোকেডো, শতমূলী

রাতের খাবার: বিভিন্ন ধরণের সবজি এক বাটি, ১/৪ অ্যাভোকেডো।

এছাড়া প্রতি দুই সপ্তাহের মাঝে একবার করে সে ফাস্টফুড খেয়ে থাকেন। এর মাঝে পিজা, বার্গার বা অন্য কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার থাকে।

প্রতিদিন ২০ মিনিট সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে দৌড়িয়ে আসেন তিনি। আর ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ভারোত্তোলন করেন। এছাড়া মাঝে মাঝে ডিমের সাদা অংশের সাথে পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো, মরিচের গুঁড়া এবং পালং শাক মিশিয়ে রান্না করে খেতে পারেন। এটি স্বাদে মজা হবার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকরও বটে।