টিনেজারদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়, এমনকি ছেলেদের ক্ষেত্রেও। যদিও মাঝেমাঝে ভঙ্গুর নখ কোনো অভ্যন্তরীণ শারীরিক সমস্যার লক্ষণও হতে পারে যা কিনা আমরা অনেক সময় এড়িয়ে যাই। এর একটা গালভরা নাম ও আছে –

‘অনিকোস্কিজিয়া’। যারা পানি নিয়ে বেশি কাজ করেন তাদের মধ্যে এই সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। কারণ পানিতে নখ বেশি সময় ধরে উন্মুক্ত থাকার কারণে নখে শুষ্কতা দেখা দেয় যা কিনা নখকে ভঙ্গুর করে তুলতে সাহায্য করে।ফলাফল হিসেবে নখের কোণা থেকে আস্তরের মতো অংশ আলগা হয়ে উঠে আসতে থাকে এবং নখ গুলোকে ভীষণভাবে বাজে দেখানোর ফলে আমাদের হাতের পুরো সৌন্দর্যই ফিকে হয়ে যেতে পারে। তাই যারা সুন্দর নখের অধিকারী এবং যারা নখের যত্ন করে নখ গুলো আকর্ষণীয় বানানোর চিন্তায় আছেন তারা নিশ্চয়ই এই সমস্যার কবল থেকে মুক্তি চাইতে উদগ্রীব।

নখ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণঃ

অতিরিক্ত পরিমাণে বাসন ধোয়া একটি কমন কারণ নখ ভঙ্গুর হবার। তাই বলে আমরা বাসন ধোয়া বা কিচেন পরিষ্কার করা তো আর ছেড়ে দিতে পারি না! খুব সহজেই একজোড়া গ্লাভস আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

বিরল হলেও থাইরয়েড গ্রন্থি সমস্যা, কিডনি সমস্যা, বা বিশেষ একটি পুষ্টির অভাব, আয়রন বা অন্যান্য খনিজের অভাবও ভঙ্গুর নখের কারণ হতে পারে।

রাসায়নিক কেমিক্যালের সংস্পর্শও নখের ক্ষতির কারণ হতে পারে।খুশির বিষয় হলো আমরা চাইলেই আমাদের রুটিনে কিছু পরিবর্তন এনে নখের যত্ন নিতে পারি।

নখের যত্ন নেয়ার জন্য আমাদের যা যা করতে হবে সেগুলো হলো –
পানির ব্যবহার কমানোঃ
বাসন ধোয়া বা কিচেন পরিষ্কারের কাজে যতোটুকু সম্ভব গ্লাভস পরিধান করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এছাড়া আমার নিজস্ব মতামত হলো নখে একটা বেইস কোট দিয়ে রাখলে পানি থেকে এটা নখকে সুরক্ষা দেয়।

ম্যানিকিউর পদ্ধতি পরিবর্তনঃ
অতিরিক্ত নেল পলিশ রিমুভার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। নেইল আর্ট না করা থাকলে অ্যাসিটোন যুক্ত রিমুভার ব্যবহার না করাই ভালো। যারা সংসারের কাজকর্ম বেশি পরিমাণে করেন তাদের জন্য চারকোণা আকৃতির নখ না রেখে গোলাকৃতির নখই উপযুক্ত। তাহলে নখ ভাঙ্গার সম্ভাবনা কমে যাবে অনেকখানি।

নখের আর্দ্রতা রক্ষা করুনঃ
ভঙ্গুর নখের জন্য আর্দ্রতা রক্ষা করাটা জরুরী,বিশেষত নখের বহিঃত্বক রক্ষার জন্য নখকে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতার যোগান দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ভালো মানের cuticle oil ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া রাতে ঘুমানোর আগে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে নখ উজ্জ্বল ও শক্ত হয়।গোসল করলে দীর্ঘক্ষণ নখটা ভেজা থাকে তাই গোসলের পরেই ভ্যাসলিনের প্রলেপ নখকে সুরক্ষা দিবে।

নখের ব্যবহারে কোমল হনঃ
আপনার নখ আপনার সৌন্দর্যের একটা অংশ তাই এর প্রতি যত্নশীল হন, নিজের নখকে কখনো টুলস হিসেবে ব্যবহার করবেন না।বিভিন্ন কৌটা খুলতে, লেবেল ওঠাতে অনেক সময়ে আমরা নখ ব্যবহার করি এতে নখের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পেতে পারে তাই এসব ক্ষেত্রে সচেতন হন।

আপনার নখের উপরেই আপনার হাতের সৌন্দর্য অনেকখানি নির্ভর করে তাই উপরের সাধারণ নিয়ম গুলো মেনে চলার পরেও যদি কাজ না হয় সেক্ষেত্রে ভালো কোন Dermatologist এর কাছ থেকে পরামর্শ নেয়াই উত্তম।