ভাবছেন অনেক দামী দামী পণ্য ব্যবহার করে তৈরি হবে এই ফেসমাস্ক? একদম নয়। বরং এমনই তিনটি সহজ উপাদান দিয়ে এই জাদুকরী ফেসপ্যাকটি তৈরি হবে যা আছে আপনার রান্নাঘরেই। রাসায়নিকযুক্ত দামী দামী ক্রিম বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করলেই যে আপনি সুন্দর থাকবেন, এর কোন গ্যারান্টি নেই। বরং এসব উপাদান সাময়িকভাবে আপনাকে সুন্দর করে তুললেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখায় অনেক বেশী। চিন্তার কিছু নেই, প্রকৃতিতেই লুকিয়ে আছে আমাদের সকল স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য সমস্যার সমাধান। আর প্রকৃতির সেই অফুরন্ত ভাণ্ডার থেকে দারুণ একটি কৌশল নিয়ে এলাম আজ আমরা।

সৌন্দর্য সেটাই, যা ত্বকের ভেতর থেকে প্রস্ফুটিত হয়। দামী ক্রিম, স্কিন ট্রিটমেন্ট বা ভারী মেকআপ ছাড়াই ধরে রাখতে চান বয়স? তাহলে এই ফিচারটি আপনার জন্যই। এই ফেসমাস্ক নিয়মিত ব্যবহারে কেবল আপনার ত্বকের বলিরেখাই দূর হবে না, কমবে ব্রণের সমস্যা, দূর হবে চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল। এছাড়াও যাদের ত্বক তৈলাক্ত, নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের তেলতেলে ভাবটাও একেবারেই দূরীভূত হবে। এছাড়াও উজ্জ্বল হবে আপনার ত্বকের রঙও। তাহলে আর দেরি কেন, চলুন শিখে নিই ফেসপ্যাকটি তৈরি ও ব্যবহার করার কৌশল।

যা যা লাগবে
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো (প্যাকেটের গুঁড়ো ব্যবহার না করে ঘরে হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো তৈরি করে নিন)
১ চা চামচ টক দই (এক্ষেত্রেও ঘরে পাতা দই হলে ভালো)
১ চা চামচ খাঁটি মধু

প্রণালি ও ব্যবহারবিধি
হলুদ গুঁড়ো ও টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিন। মেশানো হয়ে গেলে মধু যোগ করুন।
মিশ্রণটি মুখে ও গলায় সমানভাবে মেখে নিন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩০ মিনিট পর উষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার নিয়মিত ব্যবহার করুন।
এই মাস্কটি কখনো আগে তৈরি করে রাখবেন না। যখন ব্যবহার করবেন, ঠিক তখনই তৈরি করুন।
হলুদে আছে স্বাস্থ্য ও ত্বকের সুরক্ষায় অসাধারণ সব গুণাবলী। এর antimicrobial, astringent, antioxidant, moisturizing ও anti-aging গুণাবলী যখন মধু ও টক দইয়ের মত অনন্য উপাদানের সাথে মিলে যায়, তখন তা আপনার ত্বকের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল প্রদান করে। বলিরেখা তো দূর হয়ই, সাথে আপনার ত্বকের অন্যান্য অনেক সমস্যা দূর হয়ে ত্বক হয়ে ওঠে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল। একই সাথে ত্বকের দাগছোপ দূর হয়ে রঙটাও ফর্সা হয়ে ওঠে।