৭টার স্লটে আসছে এই সিরিয়াল...
নব্বইয়ের দশকে নচিকেতা চক্রবর্তীর সেই গানের পরে কেটে গিয়েছে দু’দশক। কিন্তু এখনও উত্তর মেলেনি কিছু প্রশ্নের। নতুন ধারাবাহিকে আবারও সেই প্রশ্নের সম্নুখীন হবেন দর্শক।
গত শতাব্দীর শেষের দিকে ‘বৃদ্ধাশ্রম’ ছিল সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে একটি। নচিকেতা চক্রবর্তীর ‘বৃদ্ধাশ্রম’ গানটি যেমন শিক্ষিত বাঙালির শিউডো কসমোপলিটন ভণ্ডামির দিকে আঙুল তোলে, তেমনই আন্তর্জাতিক স্তরে ঝড় তোলে ‘ড্রাইভিং মিস ডেইজি’-র মতো ছবি। কিন্তু মিলেনিয়াম পরবর্তী সময়ে তথাকথিত প্রগতির উন্মাদনায় একটা সময় পরে চাপা পড়ে যায় প্রসঙ্গটি।
সবকিছু যেমন চলছিল তেমনই চলে। একশ্রেণির মানুষ বৃদ্ধ অভিভাবকদের সংসার থেকে বিতাড়িত করতে থাকেন, আবার অন্যদিকে একটা সময় পরে সংসার থেকে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে চলে যেতে থাকেন কেউ কেউ। এই দু’টি বৃত্তই মুখোমুখি হতে থাকে বৃদ্ধাশ্রমগুলিতে।
‘আকাশ ৮’-এর নতুন ৬ মাসের মেগাসিরিয়াল ‘বৃদ্ধাশ্রম’-এ উঠে আসবে সেই বহুআলোচিত প্রসঙ্গগুলি। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন লিলি চক্রবর্তী, অন্বেষা হাজরা, মনোজ মিত্র, রাজীব বোস, অনিন্দিতা রায়চৌধুরী, ছন্দা চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ‘‘প্রতিনিয়ত আমাদের চারপাশে নতুন নতুন বৃদ্ধাশ্রম গজিয়ে উঠছে। কারও কাছে এটা ব্যবসা তো কারও কাছে সেবা। তেমনই একটি কাল্পনিক আশ্রমকে ঘিরেই আমাদের এই ধারাবাহিকের গল্প, যে আশ্রমের নাম ‘শেষের কবিতা’। দু’ধরনের মানুষ থাকেন এখানে— এগদল যাঁদের কাছে আমার ঠিকানা ‘তাই’ বৃদ্ধাশ্রম আর অন্যদল, যাঁরা বলেন যে আমার ঠিকানা ‘এখন’ বৃদ্ধাশ্রম,’’ এবেলা ওয়েবসাইটকে জানালেন পরিচালক দেবীদাস ভট্টাচার্য, ‘‘নচিকেতা চক্রবর্তীর সেই বিখ্যাত গানই আমাদের অনুপ্রেরণা আর এই ধারাবাহিকের সঙ্গীত পরিচালকও তিনি। এর আগের ৬ মাসের মেগা ‘স্বপ্ন দেখে মন’-এ আমরা একটা সম্পর্কের গল্প বলেছি। মা-ছেলের সম্পর্ক। আর এখানেও একটা সম্পর্কের গল্প। বয়স হয় গেলে ঠাকুমা-দাদুরা যে বোঝা নন, সেটাই তাঁদের সংস্পর্শে থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের যে কোনও ক্ষতি হবে না, বরং লাভই হবে, সেই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করছি এই ধারাবাহিকে।’’
গত ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে সম্প্রচার। সোম থেকে শনি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার স্লটে দেখা যাবে এই ব্যতিক্রমী ধারাবাহিকটি। ‘কাজললতা’-র পরে অন্বেষা হাজরা-কে একটি মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে এই ধারাবাহিকে। অন্বেষা এবেলা ওয়েবসাইটকে জানালেন, ‘‘এই চরিত্রটা খুব ম্যাচিওরড, কাজলের থেকে একদমই অন্য রকম। আশ্রমের সবকিছুর দায়িত্ব তার। অনেক শেডস আছে তার মধ্যে। দাদু-ঠাকুমাদের ভালও বাসে, শাসনও করে। আবার প্রয়োজন পড়লে খুব কড়া হতে হয়, খুব ডিগিনিটি মেইনটেন করে, দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। সব মিলিয়ে খুব অন্য রকম। আমার খুব ভাল লাগছে যে এতজন সিনিয়র মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পারছি। সবচেয়ে বড় কথা অনেক কিছু শিখতে পারছি।’’