কম দামের ৭ টি অ্যান্টি-এজিং ক্রিম
আমাদের লাইফস্টাইল, খাদ্য, পরিবেশ এবং কাজের চাপের সরাসরি প্রভাব ত্বকের উপরেও দেখা যায়। যার দরুন খুব তাড়াতাড়ি ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে। বয়সের আগেই যদি ত্বকে এজিং এর ছাপ পড়ে তাহলে সত্যি তা উদ্বেগের বিষয়। ত্বকে বার্ধ্যকের ছাপা দূর করার জন্য বিশেষ এক ধরনের অস্ত্রোপচার পদ্ধতিরও ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে এটা যে ব্যয় বহুল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এর বিকল্প হিসাবে অ্যান্টি-এজিং ক্রিম, ফেস মাসাজ, বিভিন্ন ধরনের তেল এর ব্যবহার করা যেতে পারে। এর মধ্যে অ্যান্টি-এজিং ক্রিমের ব্যবহার বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। এরকমই কিছু অ্যান্টি-এজিং ক্রিমের সন্ধান আজকের পোস্টে সেয়ার করলাম।
১। GARNIER SKIN NATURALS WRINKLE LIFT ANTI-AGEING CREAM
এই ক্রিমটিতে যে উপাদানে রয়েছে তা হল চেরি, বিলবেরী এবং আদা। এখানে চেরি ত্বকের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি করে, বিলবেরী অ্যান্টি-এজিং উপাদান হিসাবে কাজ করে আর আদা বিশেষ ভাবে সুপরিচিত ত্বকের ব্রণ দূর করতে, ত্বকের দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে। এছারাও এতে রয়েছে ৪০ টি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
২। POND’S AGE MIRACLE CELL REGEN DAY CREAM (SPF 15 PA++)
৩x সেল রিনিউয়াল ক্ষমতার দাবী রাখে POND’S এই ক্রিমটি। এটি একটি ময়শ্চারাইজিং ক্রিম যা দিনের বেলাতে ব্যবহার করা যায় এবং এটি এসপিএফ ১৫ সম্পন্ন।
৩। LOTUS HERBALS PHYTO-RX ANTI-AGEING CREAM
এই ক্রিমটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরি। এতে রয়েছে বিলবেরী, সবুজ চা এবং মেথির মতো কতগুলি সক্রিয় উপাদান যা ত্বকে hydrate রাখতে সাহায্য করে।
৪। LAKME YOUTH INFINITY SKIN FIRMING DAY CREAM
এই ক্রিমটি Lakme এর একটি জনপ্রিয় অ্যান্টি-এজিং ক্রিম। এসপিএফ ১৫ সম্পন্ন এই ক্রিমটিও দিনের বেলা ব্যবহার করা যায়। এতেও রয়েছে অ্যান্টি-এজিং এর বিভিন্ন উপাদান।
৫। POND’S GOLD RADIANCE YOUTHFUL GLOW DAY CREAM
ত্বক যদি তার উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে তাহলে, তা ফিরে পেতে ব্যবহার করতে পারেন POND’S এই ক্রিমটি। ত্বকের নতুন সেলকে পুনঃ উজ্জীবিত করে এবং ত্বকের আনে সোনালি আভা।
৬। OLAY REGENERIST MICRO-SCULPTING CREAM
এতে রয়েছে ২০ টিরও বেশি অ্যান্টি-এজিং উপাদান। ভিটামিন, প্রো-ভিটামিন B৫ এবং সবুজ চায়ের মতো শক্তিশালী উপাদান। এটি ত্বকের কোষকে পুনর্জাত করে এবং তার আর্দ্রতা নষ্ট হতে বাঁধা দেয়।
৭। RAPID WRINKLE REPAIR® MOISTURIZER BROAD SPECTRUM
যারা প্রডাক্টটি ব্যবহার করেছেন এবং বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে এই অ্যান্টি-এজিং ক্রিমটি একটি উন্নত মানের ক্রিম। এটি একদিকে যেমন ত্বকের বলিরেখা দূর করে তেমনি অন্য দিকে ত্বকে আনে উজ্জ্বলতা। এটি অবশ্যই ত্বকের বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে।
প্রতিটি অ্যান্টি-এজিং ক্রিমের ব্যবহার রীতি একটি নির্দিষ্ট স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলে। তবে ভাল ফল পেতে কিছু সাধারন নিয়ম মেনে চলতে হবে যেমন, রাতে কিছু স্কিন কেয়ারের নিয়ম মেনে চলা পাশাপাশি ত্বক ক্লিন করা, সিরামের ব্যবহার ইত্যাদি, সঙ্গে সঙ্গে ফলো করতে হবে।