রাতে ভাল ঘুম এবং সকাল সকাল জেগে উঠার সহজ উপায়
বাড়িতে ফিরে এসে সারাদিন শুধু ঘুমিয়ে কাটান কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই এমন পরিস্থিতির স্বীকার হলেন, যখন ঘুমের সমস্ত চিহ্ন অদৃশ্য হয়ে গেলো। এইরকম পরিস্থিতির শিকার শুধু আপনি একা নন। এ ধরনের নিত্য স্ট্রেসের কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ স্লিপিং ডিজঅর্ডার এ ভুগছে। এই স্লিপিং ডিজঅর্ডার দূর করা সম্ভব কিছু কৌশলে।
যথেষ্ট ঘুম নিশ্চত করুন: প্রত্যেক মানুষের জন্য ঘুমের একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে, প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে গড়ে ৭-৮ ঘণ্টা বিশ্রামের প্রয়োজন। যদি এর থেকে কম ঘুমানো হয় তাহলে ঘুমের ঘাটতি হবে, যার ফলে কার্যক্ষমতা কমে যাবে এবং সারাক্ষণ তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকবেন।
কফি পান করা বাদ দিন: কাজের ভিতর এক কাপ চা বা কফি খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা হলেও এটা করা যাবে না। কারণ এডেনোসিন শোষণে ক্যাফেইন বাধা দেয় এবং পরবর্তিকালে ঘুমের ক্ষতি করে।
মুক্ত বাতাসে কিছুক্ষণ শ্বাস গ্রহণ: ঘুমানোর পূর্বে কিছু সময় একটু নিরিবিলিতে পায়চারী করুন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সব অলসতা কাটিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় আধ ঘণ্টার জন্য হলেও খোলা পরিবেশে ঘুরে আসা উচিত। এটি অবশ্যই ভাল এবং আনন্দদায়ক ঘুম উপহার দিবে।
উষ্ণ পানীয় পান: পায়চারির পরে আপনি একটু উষ্ণ পানীয় পান করতে পারেন, তা হতে পারে হারবাল চায়ের সাথে দুধ বা মধু
পোষা প্রাণীর সাথে ঘুম বর্জন: নিঃসন্দেহে পশমযুক্ত কুকুর বা বিড়াল আপনার পরিবারের সদস্য।এই গৃহপালিত প্রাণীকে পরিবারের সদস্য ভেবে আপনার বিছানায় ঘুমাতে দেওয়া ঠিক নয় কেননা বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে ৬৪% মানুষ যারা গৃহপালিত প্রাণীর সাথে ঘুমায় তাদের স্লিপিং ডিজঅর্ডার রয়েছে।
বালিশের নিচে রসুন রাখুন: ভাল ঘুমের জন্য বালিশের নিচে রসুন রাখা এটা প্রাচীন কাল থেকেই পরিচিত।সালফার কম্পাউন্ড যা উৎপন্ন করে শীতলভাব এবং ঘুমের প্রকৃতি।
গ্যাজেট বন্ধ রাখুন: গ্যাজেট থেকে নিঃসৃত আলোক বিকিরণ আমাদের চিন্তার থেকেও অনেক বেশি ক্ষতিকারক। মেলাটোনিন হরমোনের দ্বারা ঘুম নিয়ন্ত্রিত যেটা আলোর অনুপস্থিতিতে উত্তপন্ন হয়। ঘুমানোর ঠিক পূর্বে গ্যাজেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
বাড়ির চারপাশ ল্যাভেন্ডারে সজ্জিত করুন: ল্যাভেন্ডার শান্ত বৈশিষ্টের জন্য অনেক পরিচিত। বসন্তে আপনার বিছানার চারপাশে ল্যাভেন্ডার ফুলে সাজিয়ে রাখুন অথবা সুগন্ধি তেল এবং বাতি ব্যবহার করুণ অনিদ্রা দূর হয়ে যাবে।
রুমের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষন করুন: অসহ্যনীয় গরমের কারণে ঘুম ব্যহত হয়। এজন্য বেডরুমের তাপমাত্রা ৬০-৬৮ ডিগ্রি ফারেনাইটের মধ্যে রাখুন।
ম্যাগনেসিয়ামের গুরুত্ব ভুলবেন না: ম্যাগনেসিয়াম ভাল ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডায়েট এ অবশ্যই ম্যাগনেসিয়াযুক্ত খাবার থাকতে হবে অথবা ঘুমানোর আধাঘণ্টা পুর্বে বায়োলজিক্যাল সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন।