ফেয়ার লুক ব্যবহার করে কী ফর্সা হওয়া যায়? কি কি সমস্যা হতে পারে
বাজারে যে ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম পাওয়া যায় সেগুলো কিছুদিনের জন্য আপনার ত্বকের মেলানিন কমিয়ে দেয়, এতে কিছুদিনের জন্য আপনার ত্বক ফর্সা দেখা যায়। এরপর আবার আগের মত হয়ে যায়, তাই এই ক্রিমগুলো ব্যবহার চালিয়ে যেতে হয়। এত লম্বা সময় ধরে এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করার ফলে ত্বকের মেলানিন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান কমে যায়, এতে ত্বক ফর্সা হয় ঠিকই কিন্তু রোদের অতিবেগুনি রশ্মি ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদানের বিরুদ্ধে ত্বককে আর রক্ষা করতে পারে না, কারণ ত্বকের প্রয়োজনীয় মেলানিন তখন আর ত্বকে থাকে না। এতে ত্বকের ক্যান্সারসহ নানান ধরণের সমস্যা দেখা দেয়. তাই, গ্রাহক ফর্সা ত্বকের চেয়ে একটি সুস্থ ত্বক বেশি প্রয়োজন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বককে সুস্থ রেখে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানো যায়।এর জন্য আপনাকে নিয়মিত ত্বক এবং মাথার ত্বকের যত্ন নিতে হবে। প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমান। ৮ গ্লাস করে পানি পান করুন। মাথার ত্বক এবং ত্বক দুইই পরিষ্কার রাখুন। সপ্তাহে একদিন আপনার বিছানা চাদর, বালিশের কভার, চিরুনি, তোয়ালে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দিবেন। আলাদা তোয়ালে ব্যবহার করবেন। দিনে কমপক্ষে দুবার শুধু পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন। দিনে অন্তত একবার ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করবেন। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেইসওয়াশ ব্যবহার করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করার জন্য কাজ করুন। পেট পরিষ্কার না থাকলেও ত্বক অনুজ্জ্বল দেখায়। শারীরিক পরিশ্রম করুন,এতে ত্বকে অক্সিজেন এর সরবরাহ বাড়বে। এর ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে দুধ ১/২ চা চামচ + লেবুর রস ১/২ চা চামচ+ আটা ১ চা চামচ + হলুদ ১চিমটি নিয়ে মিশ্রণটি ১৫ মিনিট মুখে রাখবেন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলবেন। তবে, মুখে লাগানোর আগে দেখে নিবেন হলুদ এবং লেবুর রসে আপনার ত্বকে সংবেদনশীলতা বা অ্যালার্জি আছে কিনা। আশা করছি আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। শুভকামনা রইল। আশা করি আপনাকে সাহায্য করতে পেরেছি। আর কোন প্রশ্ন থাকলে, মায়া আপাকে জানাবেন, রয়েছে পাশে সবসময়, মায়া আপা ।