মধুমিতা সরকারের বয়ফ্রেন্ড কে?
অভিনয়ে এলে কীভাবে?
অভিনয়ে আসাটা খুব আকস্মিকভাবেই হয়েছিল। স্কুলে পড়তে-পড়তেই টুকটাক মডেলিং করতাম। ‘১৯ ২০’ পত্রিকায় আমার ছবি ছাপা হয়েছিল। ওই ছবি দেখেই সানন্দা টিভির পক্ষ থেকে একটি সিরিয়ালের জন্য আমাকে ডাকা হয়। কিন্তু ওইসময় একটি ছবিতে অভিনয়ের কথা পাকা হয়ে গিয়েছিল। তাই পরিষ্কার ‘না’ বলেই চলে এসেছিলাম। কিন্তু ওরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। এই ঘটনার বেশ কয়েকমাস পর আবার ওখান থেকে আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ‘সবিনয় নিবেদন’ সিরিয়ালের জন্য। কিন্তু তখনও ছবিটার কাজ চলছিল বলে প্রথমে রাজি হইনি। তারপর একদিন হঠাত্ করেই কনট্র্যাক্ট সাইন করি। এভাবেই আমার টলিউডে যাত্রা শুরু। কিন্তু এর মধ্যে একটা মজার ব্যাপার হল, যে ছবিটার জন্য আমি কিছুতেই সিরিয়াল করতে চাইনি, সেটি কিন্তু আজ পর্যন্তও মুক্তি পায়নি।
‘সবিনয় নিবেদন’ আর ‘কেয়ার করি না’ এই দু’টো সিরিয়ালের মধ্যে কোনটা বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছিল?
প্রথম সিরিয়ালের অফারটা যত সহজে পেয়েছিলাম, কাজটা তত সোজা ছিল না, কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিলাম। ওইসময় আমি অভিনয়ের ‘অ’ জানতাম না। ‘নয়না’ চরিত্রের সঙ্গে আমার কোনও মিলও ছিল না। তাই সেই সময় অভিনয় করাটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ‘সবিনয়…’ শেষ হওয়ার পর বেশ কয়েকটা সিরিয়ালের অফার এসেছিল। এর মধ্যে ‘কেয়ার করি না’ আমার কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছিল। কারণ, চরিত্রটার মধ্যে দু’টো দিক আছে। তাই আমার মনে হয়, দু’টো সিরিয়ালই আমার কাছে দু’ধরনের পরিস্থিতিতে দু’রকমের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছিল।
‘কেয়ার করি না’র জুনি, নাকি ‘সবিনয় নিবেদন’-এর নয়না! এদের মধ্যে মধুমিতা ঠিক কেমন?
মধুমিতার সঙ্গে নয়নার কোনও মিল নেই। মধুমিতা একেবারে ‘জুনি’র মতো, বকবক করে, খুব তাড়াতাড়ি রেগে যায়, এনার্জেটিক ইত্যাদি… আসলে আমাকে ‘জুনি’ চরিত্রে অভিনয় করতে হয়নি, কেবল বিহেভ করেছি।
‘কেয়ার করি না’ শেষ হওয়ার পর কী করবে বলে ভাবছ?
এপ্রিলে আমার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। আপাতত পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করছি। সিরিয়ালের অফারটা তো আছেই। এ ছাড়া বেশ কয়েকটা ছবির অফারও পেয়েছি। কিন্তু এর পর সিরিয়াল বা ছবি! এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।
ছবি করার জন্য নিজেকে আরও গ্রুম করতে হবে, মনে হয় না?
হ্যাঁ। এই কারণেই আমি কিছুদিনের ব্রেক নিতে চাইছি। এই সময় নাচ শিখব, কোনও থিয়েটারের দলে যোগ দেওয়ার কথাও ভাবব। আসলে নিজেকে সব দিক দিয়ে গ্রুম করার চেষ্টা করব।
‘সবিনয়…’-র হিরো সৌরভ, ‘কেয়ার…’-র হিরো ফারহান দু’জনের সঙ্গেই মধুমিতার নাম জড়িয়েছিল। মধুমিতা কি ঘন-ঘন প্রেমে পড়তে ভালবাসে?
আসলে যে-কোনও সিরিয়ালের হিরো ও হিরোইন যদি সিঙ্গল থাকে, তা হলে দর্শকরা তাদের দু’জনকে এনগেজড করে দিতে ভালবাসেন। আমার দিক থেকে বলতে পারি, সৌরভ আমার খুব ভাল বন্ধু আর ফারহান আমার কো-স্টার। ওদের দু’জনের সঙ্গে কোনও সময় আমার কোনও সম্পর্ক কখনও গড়ে ওঠেনি।
তা হলে মধুমিতার স্টেডি বয়ফ্রেন্ড কে?
আমার কোনও বয়ফ্রেন্ড নেই। আর যদি থাকত, তা হলে টানা ১৫-১৬ ঘন্টা অভিনয়ের পর বয়ফেন্ডকে সময় দিতে পারতাম না। এমনিতেই ব্রেকআপ হয়ে যেত। ক্লাস টেনে পড়ার সময় একবার এনগেজড হয়েছিলাম, ওই স্কুলের মিষ্টি-মিষ্টি প্রেম আর কী! কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ব্রেকআপ হয়ে যায়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত আমি সিঙ্গল এবং সিঙ্গল থাকতেই ভালবাসি।
ঈপ্সিতা বসু
ফোটো: প্রদীপ আদক
মূল খবর - উনিশ কুড়ি ডট ইন